শিক্ষার্থীর জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা কী?

হ্যালো ! 

         আমি আসমা হাবিব । বাংলাদেশ থেকে ISO- প্রত্যয়িত একটি সফটওয়্যার কোম্পানির একজন লেখক।বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা সত্যিই কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা উল্লেখ করার চেষ্টা করছি। চলুন বন্ধুরা, ছাত্রদের জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলি। 



সময় যত গড়াচ্ছে, প্রযুক্তি ততই ক্রমবর্ধমানহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য - যত বেশি প্রযুক্তির অগ্রগতি হবে, ততই এটি প্রতিটি শিক্ষার স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি সুবিধা প্রদান করবে। সবাই জানে যে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি পৃথিবীকে এত ছোট করে ফেলেছে যে মাত্র এক ক্লিকেই সবকিছু সম্ভব।ডিজিটাল যুগের পর থেকে শিক্ষা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে এবং বর্তমানে আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন নতুন উপায় আবিষ্কার ও বাস্তবায়ন করছি।



কোভিড -১৯ এর বর্তমান প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে, অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদের জীবনে জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য

অনলাইন শিক্ষার এই ধাপটিকে দারুনভাবে পছন্দ করছে।


মহামারি করোনার ভয়াবহ বিরুপ পরিস্থিতির জন্য মানবজাতি যখন প্রায় ঘরবন্দি। তখন শিক্ষা-কর্মকান্ড পরিচালনার

জন্য অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব অপরিহার্য।  চলমান অবস্থার উন্নতি হলেও শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য স্বাভাবিক

ক্লাসের সাথে সাথে অনলাইন শিক্ষা-কর্মকান্ডও চলমান প্রক্রিয়াই থাকলে শিক্ষা পদ্ধতির উন্নয়ন সাধন সম্ভব হবে।

তাই গুরুত্তের সাথেই শিক্ষা-কর্মকান্ড চলমান রাখতে পারলে অনলাইন ক্লাসের উৎকর্ষ বহুলাংশে সাধন সম্ভব হবে।

শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, আপনাদের মেধায় ও প্রচেষ্টায়ই এই উৎকর্ষ ক্রমাগত সাধিত হবে। শিক্ষকের যোগ্যতা ও দক্ষতার

পাশাপাশি আরও অনেক কিছুর উপর একটি অনলাইন ক্লাসের সফলতা নির্ভর করে।




প্রযুক্তি (অনলাইন ক্লাস)এর মাধ্যমে ঘরে বসেই  শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসের পড়া গুলো ঠিকমতো অধ্যায়ন করতে

পারছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন তারা তাদের ক্লাসের পড়া অধ্যায়ন করতে পারছে, অন্যদিকে কোভিড -১৯

থেকেও দূরে থাকার সুযোগ পাচ্ছে।অনলাইন ক্লাসের অনেক সুবিধা আছে। এটি শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীদের পরিবারের

জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন অনলাইন ক্লাসের কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে আসি। 


প্রথমত, প্রযুক্তি(অনলাইন ক্লাস) এর সাহায্যে শিক্ষার্থীরা সময় বাঁচাতে পারে এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক কার্যক্রমে

মনোনিবেশ করতে পারে।যেহেতু এভাবে তারা তাদের সময় বাঁচাতে পারছে ফলে তারা অন্যদিকেও নজর দিতে

পারবে। ফলে তারা অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবে।বইএর জ্ঞান এর বাইরেও অনেক কিছু জানার ও

শেখার আছে। যার দ্বারা তারা তাদের পরবর্তী বাস্তব জীবনে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা বয়ে আনতে পারবে। তাই এটা

শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দারুন সুযোগ। যার মাধ্যমে তারা নিজেদের মেধাবি ও কর্মঠ হিসেবে প্রমান করতে

পারবে। এভাবে  শিক্ষার্থীদের জানার বা শেখার প্রতি আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা দুই ই বাড়বে।




 দ্বিতীয়ত, যদি কোনো শিক্ষার্থী হাতের নাগালের বাইরে বা শারীরিকভাবে নাগালের বাইরে থাকে, তারাও খুব সহজেই

অনলাইন ক্লাস করতে পা্রে। শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যে স্থানেই অবস্থান করুক না কেন তারা অনলাইন এর মাধ্যমে ক্লাস

করতে পারবে।অনলাইন এর মাধ্যমে ক্লাস এতই সহজ হয়ে গেছে যে,সব পরিস্থিতিতেই শুধুমাত্র একটি ডিভাইস

থাকলেই খুব সহজেই ক্লাসে অংশগ্রহন করা যায়।

এর অর্থ হল শিক্ষা যখনই এবং যেখানেই হোক না কেন, তা একজন শিক্ষার্থীর নখদর্পণে।




তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্রমণকৃত অর্থ সঞ্চয় করতে পারে। এভাবে একদিক থেকে

অভিভাবকদের উপর চাপ কমছে, তাদের অর্থ ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে।এর ফলে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে। অন্যদিকে

এসব অর্থ যদি  শিক্ষার্থীরা রেখে দেই তবুও তারা অর্থ সঞ্চয় করে অন্য শিক্ষাখাতে ব্যয় করতে পারে। এভাবে

শিক্ষার্থীরা  ছোট থেকেই আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ পাবে এবং ভবিষ্যতে খুব সহজেই তারা স্বাবলম্বী

হতে পারবে।

 

চতুর্থত, আজকাল, শিক্ষার্থীরা মজাদার  কার্যক্রমের সাথে শিখতে বেশি আগ্রহী, তাই দেখা যাই তারা অনলাইন

ক্লাসগুলি কার্যকরভাবে শিখতে  প্রবল আগ্রহী। যার আরও আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য, ভিডিও, চিত্র এবং তথ্যচিত্র রয়েছে।

ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা সকল বিষয় নিয়েই জানতে বা শিখতে অনেক আগ্রহী ও কৌতূহলী থাকে।

বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের আবেগ এবং কৌতূহল দুই ই বাড়তে থাকে। শিক্ষার্থীরা মূলত চমকপ্রদ উপাদানের

সাথে শিক্ষা গ্রহন করতে চায়  এবং এভাবে শিখলে বিষয়টি অতি সহজেই বুঝতে পারে ও দীর্ঘদিন মনে রাখতে

সক্ষম হয়। সেই ধারাবাহিকতাই শিক্ষার্থীরা কিছু চমকপ্রদ ও মজাদার কার্যক্রমের সাথে শিখতে  চাই। যা

প্রযুক্তি(অনলাইন ক্লাস) এর  মাধ্যমে খুব সহজ ভাবেই শিখতে পারে।


পঞ্ছমত,প্রযুক্তি (অনলাইন ক্লাস) সহযোগিতা উৎসাহিত করে। প্রযুক্তি  শিক্ষার্থীদের  জন্য সহযোগিতা করা

এবং একসাথে ক্লাস করা সহজ করে তোলে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সহযোগী উপাদান যেমন শেয়ার করা

তথ্য শিক্ষার্থীরা একসাথে দেখতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তি (অনলাইন ক্লাস) শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা, একে

অপরের কাজ পর্যালোচনা এবং পাশাপাশি শেখার সুবিধা দেয়।




শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা শিখতে সাহায্য করার জন্য, তাদের সহকর্মীদের সাথে নতুন উপায়ে কাজ করতে এবং

নতুন তথ্য খুঁজে পেতে এবং তথ্য তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য এখন বিভিন্ন ধরনের অনলাইন হোয়াইট বোর্ড

ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি নিজেও কিছু বোর্ড ব্যবহার করেছি। এটা সত্যি দারুন।আমার দৃষ্টিকোণ থেকে,

সেখানে কিছু সাহায্যকারী উপাদান আছে, যেমন পুরানো গুগল জ্যামবোর্ড। কিন্তু যদি আমরা বর্তমান দিনের

কথা বলি, ডোজোইট একটি ভাল পছন্দ হওয়া উচিত। আমি একটি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমরা

এটা পরবর্তীতে ঘন ঘন ব্যবহার করি। চেষ্টা করে দেখতে চান নাকি?  আপনার ইচ্ছা। 


তাই বন্ধুরা শেষ কিন্তু অন্তত নয়, আমি বলতে চাই যে প্রযুক্তি বিশ্বের দরজা খুলে দিয়েছে। এটি একটি অর্থপূর্ণ

এবং সম্মানজনক উপায়। এর মাধ্যমে কাজ করা আমাদের উপর নির্ভর করে।